প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি দামের তোয়াক্কা নেই, ইচ্ছে মতো বাড়ছে এলপিজি গ্যাসের দাম!

ফাইল ছবি

সরকারি দামে নির্ধারিত থাকলেও খুচরা বিক্রেতাদের বাড়তি টাকার খেয়ালিপনায় ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের অতিরিক্ত ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে। সেপ্টেম্বর মাসের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম বেঁধে দিয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, কিন্তু বাস্তবে সেই সিলিন্ডার মিলছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের শাহীদা আক্তার কিনেছেন ১ হাজার ৪৫০ টাকায়, আর বাংলামোটরের তোতা মিয়া গুনেছেন ১ হাজার ৪০০ টাকা। দুজনই বলছেন, দোকানভেদে ভিন্ন ভিন্ন দাম, আর সরকারি দামের তোয়াক্কা নেই কারও। বিক্রেতারা অজুহাত দিচ্ছেন ডেলিভারি খরচের, তবে আধা কিলোমিটার দূরত্বে পরিবহন বাবদ ৫০ টাকার বাইরে যা আদায় হচ্ছে, সেটি প্রতারণা বলেই মনে করেন অনেক খুচরা বিক্রেতা নিজেরাই।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে এ অরাজকতার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। তারা নজরদারিতে দুর্বল, আর সেই সুযোগ নিয়েই চলছে বাড়তি টাকা আদায়ের খেলা। অন্যদিকে বিইআরসি আশঙ্কা করছে, কঠোর হলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে।

সাবেক ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান পরামর্শ দিয়েছেন ভোক্তাদের অভিযোগ করার। ভোক্তা অধিকার আইনে শুনানি শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও, বাস্তবে গ্রাহকরা পাচ্ছেন না স্বস্তির নিশ্চয়তা।

ফলে নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি খরচে গ্যাস কিনে মাসিক বাজেটে চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম কেন নিতে হবে, সেই প্রশ্নের জবাব আজও অমীমাংসিত।

  • সর্বশেষ